ভুমিকা
‘ বিছমিল্লাহি রাহমানির
রাহিম’
আল-কোরআনুল
কারীম আল্লাহর বানী; সমস্ত সৃষ্টির তথ্য পূর্ণ
এবং স্রষ্ঠার সৃষ্ট সৃষ্টির সুষ্ঠ
পরিচালনার সংবিধান তথা কম্পিলিট কোট অফ
লাইফ। মহান আল্লাহ তা’য়ালার সকল সৃষ্টির সুক্ষ্ণ, সুষ্ঠ ও সঠিক ব্যবস্থাপনার একমাত্র সংবিধান এই আল-কোরআন, এতে
সন্দেহের কোনই অবকাশ নেই। ভাষা‘ আরবী। ভাষার গাম্ভীর্য, প্রকাশভঙ্গির, বাক্য চয়নে
শৈল্পিক রীতি, ভাষা প্রয়োগের অতুলনীয় বৈশিষ্ট্য, শব্দ চয়নে যথার্থতা, ছন্দের
মাধুর্য ও ভাবের গভীরতা ইত্যাদির নানাবিধ কারনে অন্য কোন ভাষায় তরজমা: বা হুবাহুব
অনুবাদ করা মোটেই সম্ভব নয়। তাই আল-কোরানুল কারীমের প্রকৃত তরজমা: হয় না, অর্থের তরজমা: হয়। যদিও
বিভিন্ন পন্ডিতগন তরজমা: করে থাকেন ভাবার্থে,তাই বিভিন্ন ভাষাবিধগনের আল-কোরনুল
কারীমের তরজমা: বিভিন্নভাষা ভেদে, শাব্দিক অর্থে মতর্পাথক্য বা মতভেদের সৃষ্টি হয়।
এবং এই মতভেদ পার্থক্য থেকে সৃষ্ট মতদ্ধন্ধ বা ফেৎনা-ফ্যাসাদের জ্বালে আজ
সারাবিশ্বে মুসলিম সমাজে এক অন্ধকার আচ্ছন্নে ঘিরে ফেলেছে, এর থেকে বেড় হয়ে আশা
বড়ই কঠিন ব্যাপার। কিন্তু এর থেকে বেড় হয়ে আশা অতিব জরুরী ও সময়ের দাবী এবং এ ছাড়া
কোনও বিকল্প পথ নেই।
ইতিহাস
পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, জাহেলী যুগে যখন সমাজে অশামিত্ম আর বিশৃঙ্খলা চরম সীমায়
পৌঁছেছিল তখন মহান আল্লাহ তা’য়ালা পৃথিবীর সকল মানুষকে ডেকে বলেছিলেন,‘আর তোমরা
সকলে মিলে আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে ধারন কর এবং পরস্পর বিছিণ্ণ হয়ো না। আর তোমরা
তোমাদের উপর আল্লাহর নিয়মত স্মরন কর। যখন তোমরা পরস্পরে শত্রম্ন ছিলে। তারপর
আল্লাহই তোমাদের অন্তরে ভালবাসার সঞ্চার করেদিলেন। অত:পর তার অনুগ্রহে তোমরা ভাই
ভাই হয়ে গেলে। এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্য তার আয়াতসমূহ বর্ননা করেন, যাতে তোমরা
হিদায়াত প্রাপ্ত হও। আজ বিশ্ব মুসলিম সমাজ এই আয়াতের মর্মার্থ অনুসারে বিপরীত মেরুতে
অবস্থান করছে। আর প্রকারান্তরে আল্লাহ প্রদত্ত বিধান ও একত্ববাদকে অস্বীকার করে,
যদিও সে মনে করে যে, সে সঠিক পথেই আছে। কিন্ত ঈমান হারা হয়ে জাঁহান্নামীদের দলভুক্ত হয় । এবং তার
সমস্ত জীবনের ইবাদত বন্দীগি বরবাদ হয়ে যায়। আর তখন সে ইবলিশ শয়তানের দলভুক্ত হয়। যদিও সে মানুষরূপী শয়তান, লেবাশধারী মুসলিম বলে প্রতিয়মান হবে তাকে। আসলে
সে মানুষরূপী শয়তানের দল ভুক্ত অনুচর।
যারা এ বিশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িত তারা আসলেই ইসলাম পন্থীনয়। ইসলাম বিরোধী
রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলকারী, ধর্ম-ব্যবসায়ী একটি স্বার্থবাদী গোষ্ঠী বা সংঙ্ঘ।
প্রকৃত ইসলাম অনুসারী ব্যক্তি, মসজিদের পবিত্রতা বিনষ্ট করতে পারেনা। শামিত্মর পথ
পরিহার করে অসামিত্মর পথ গ্রহন করা কোন মুসলিম ব্যক্তির সত্যিকার আর্দশ নয়।
শত
শত বছর ধরে চলে আসা মুসলমানদের আমল আখলাক হইতে, কাজ এ বিভ্রমিত্ম সৃষ্টি কারীদের
অপচেষ্টা প্রতিরোধ করে ইসলামী ঐক্য
সৃষ্টির দৃঢ় প্রতয় করা একান্ত জরুরী। এক অপর মাজহাব বিরোধী অপ তৎপরতা, উগ্র ও
সন্ত্রাসী কার্য-কলাপ এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্নকারী সব
কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ
করতে হবে। বিভিন্ন মাজহাব ও সুন্নী আক্বীদার বিরুদ্ধে মিডিয়ার মাধ্যমে নামধারী
আলেমরা বিভ্রামিত্ম ছড়াচ্ছে এবং নানা চক্রান্ত করছে। এসব চক্রান্ত মোকাবেলা ও
প্রতিরোধ করে বন্ধো করতে হবে। তা না হলে এ
দেশে নিরীহ ধর্মপ্রান মানুষ ইসলামের হক পথ
ছেড়ে বিভ্রান্ত পন্থায় চলে যাবে। আজ
মুসলিম সমাজের মধ্যে সেই বিগত দিনের
ঐতিহবাহি শৈজ্জ্য-বিজ্জ্য, ধৈয্য, গৌরবময় ঐতিহ হারিয়ে আত্ব দন্ধ কলহে জড়িয়ে
ধ্বংসের দ্বার প্রামেত্ম পৌছে গেছে। এর জন্য দাইকে? আলেম সমাজ নয় কি ? এক ধর্ম, এক
কোরআন, এক নবী, এক দ্বীন-ইসলামকে তিন কুঁড়ি তের ভাগে বিভক্ত করে ফেলেছে।
প্রত্যেকেই নিজ নিজ ভাগ ও দল নিয়া আত্ব গৌড়বে মেতে উঠেছে। সেই সুযোগের সদব্যবহার
করছে মুসলিম বিদ্ধেষী বিধর্মীওগন। অথচ সেদিকে আমাদের এতটুকু ভ্রক্ষেপ নেই। কিন্তু
তাই বলে কেউ কাউকে এতটুকু ছাড় দিতে নারাজ, হোক না কেন সে জাত ভাই, কিন্তু বিধর্মীর
সাথে এব্যাপারে হাত মিলাতে কোনও দ্বিমত নেই। বলার অপেক্ষা রাখেনা, ঈমান অাঁকিদা, আমল ও কৃষ্টিগত ঐক্য
বিনষ্ট করাই এর মূল উদ্দেশ্য। এর ফলে যেহেতু লাভবান হচ্ছে এবং হবে ইসলাম বিরোধী
শক্তি, তাই নি:সন্দেহে বলা যায়, মুসলমান বিরোধী ইহুঁদী, খ্রিস্টান, নাছারা শক্তিই
এর মূল ইন্ধন দাঁতা। তাই
অন্তরে ব্যথার অনভুতি নিয়ে, পবিত্র আল-কোরআন ও হদীসের আলোকে আজকে আমার এ লেখার
অনুপ্রেরনা।