আল্লাহ
তা’য়ালার যাত (সত্ত্বা) তথা রম্নবুবিয়্যাত,ও উলুহিয়্যাত বা সিফাতে র (গুণাবলির)
সাথে অন্য কাউকে সেরূপ মনে করার নাম শির্রক। এটি বিভিণ্ণ ভাবে হতে পারে। এক কথায়
যে আচার-আচারন এক মাত্র আল্লাহর সাথেই হওয়া উচিৎ সেই রূপ আচার-আচারন কোন সৃষ্টির
সাথে করাকে শির্রক বলে।
শির্রক
অর্থ অংশীবাদ বা অংশীদারী। এক কথায় ত্বাওহীদের বিপরীদ। ত্বাওহীদ হচ্ছে আল্লাহর
একত্ববাদ বা একক সত্ত্বা, যার সাথে তার সৃষ্ট জগতের কোন কিছুর সাথে, কোন ক্রমেই তুলনা
করা চলেনা। ইচ্ছায় অনইচ্ছায়, যানিয়া নাযানিয়া, যে কোন অবস্থায় স্বজ্ঞানে অথবা
ভুলক্রমে মহান আল্লাহর একক সত্ত্বার সাথে কোন কিছুর তুলনা করাটাই শির্রকের অমত্মর
ভুক্ত। এমন কি মহান আল্লাহ তায়ালার সাথে যে আদবে অনুগত হওয়া এবং ভয় ঢর ও সমীহ করা
উচিৎ। অনুরূপ যদি তার সৃষ্ট জীবের মধ্যে কারো প্রতি সমীহ,ও আচার-আচরন করা হয় তবে
তাহাই শির্রকের অমত্মর ভুক্ত হবে।কেন মাওলানা বলা শিরক ?
আরব অঞ্চলের বেদুইনরা তাঁদের দলের দলপতি সরদার বা নেতাকে মাওলাই বলে
ডাকে বা সম্মদ্ধেন করে থাকেন। একদিন কোন এক ঘটনা প্রসংঙ্গে হযরত আলী রা: সংঙ্গে
তাঁদের এক দলনেতা বা মাওলাইর সংঙ্গে কোন এক বিষয় নিয়া মতদন্ধ হয়, ঘটনাটি যখন নবী সা: পর্যমত্ম পৌছায় তখন
তিনি সেখানে উপসিত্মত হয়ে ঘটনাটি বিসত্মারিত শুনেন যা তাঁদের মাওলাই র্নিবাচনি
মতদন্ধ বিষয় ছিল এবং নবীজি সা: সকলকে উদ্দিশ্য করে বলেস্নন: তোমরা কি আমাকে মাওলাই
মান? তখন সবাই এক বাক্যে বলে উঠিল হাঁ আপনি আমাদের মাওলাই! তখন তিনি
বলেস্নন: ‘‘আমি যার মাওলাই আলীও তার মাওলাই’’ তখন তারা নবী’র সা:
ফয়সালা কে স্বীকার করে মেনে নিলো। এই হাদীস খানা থেকে পরবর্তীতে মাওলাই
থেকে মাওলা আলী রা: বনে গেলো শিয়াদের কাছে। শিয়া মুসলিমগণ আলী রা:
কে প্রধান্য দেয় নবীর সা: ছেয়ে। আর এখন শুন্নি মুসলমানরা মাওলাই থেকে নবী’র সা:
নামের পূর্বে দুরূদের মধ্যে ‘‘মাওলানা’’ ঢুকায়ে দিয়েছে? (নাউজুবিল্লাহ) তাঁদের
নিজেদের নামের পিছনে‘‘মাওলানা’’টাইটেলকে মজবুত নাখার জন্য এবং মাওলানার বিভিন্ন
শাব্দিক অর্থ বাহির করে ব্যাকারনের মারপ্যাচ দেখিয়ে চলছে নিজেকে বিখ্যাত খেতাধারী
টাইটেলওয়ালা হিসেবে। এবং পাক-কোরআনের অনেক ‘মুশাবিহাতুন’ তথা রূপক আয়াত কে অপব্যাখ্যা
করে অর্থের তারতম্য ঘটিয়ে নিজকে খেতাবপ্রাপ্ত জাহিরী করে, ধর্মের মধ্যে, কমোনিটির
মধ্যে ফেৎনা-ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে গোলোযোগের জন্ম দিয়েছে? আসলে তাঁরা আল-কোরআনের
দৃর্ষ্টিতে সুরা আল-ইমরান ৩:৭ আয়াত অনুসারে ফেৎনা-বাজ ? আল্লাহ বলেন,
‘‘তিনিই ত আপনার কাছে কিতাব নাজিল করেছেন। তার একাংশ
হ&&চ্ছ-আদেশ সূচক আয়াতের সামিল। আর তাই হচ্ছে কিতাবের মূল অংশ। অপর অংশ
হচ্ছে রূপক ও বিবিধ অর্থে পরিপূণৃ আয়াতসমূহ। সুতরাং যাদের অমত্মরে কুটিলতা আছে
তারাই বিবিধ অর্থ পূর্ন অংশ নিয়ে মেতে উঠে ফিৎনা-ফ্যাসাদের খোঁজে, সে সবের বিবরন
খোঁজে। অথচ সে সবের বিবরন একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেই জানেন না। (আল্লাহ ছাড়া এর
অর্থ কেউ অবগত নহে)। যারা সত্যিকার জ্ঞানসাধক তারা বলে: আমরা বিশ্বাস করি সব কিছু
আমাদের পালনকর্তার কাছ থেকে এসেছে। উপদেশ ত শুধু তারাই গ্রহন করে যারা সত্যিকার
জ্ঞানী। ‘‘হুওয়াল্লাযী-আন্যালা
আ’লাইকাল্ কিতা-বা মিন্হু আ-ইয়া-তুম্ মুহ্-কামা-তুন্ হুন্না উর্ম্মুল কিতা-বি অ
উখারম্ন মুতাশাবিহা-তুন্ ফাআম্মাল্লাযী-না ফী-ক্কুলু-বিহিম্ যাইগুন
ফাইয়াত্তাবিউ-না মা-তাশা-বাহা মিন্হুব্ তিগা-য়াল্ ফিতনাতি অবতিগা-য়া
তা’ওয়ীলিহি-অমা-ইয়া’লামু তা’ওয়ী-লাহুয়া-ইল্লাল্লা-হু ওয়ার্ রাছিখু-না ফিল্ ইল্মি
ইয়াক্কু-লু-না আ-মান্না-বিহী-কুলস্নুম্ মিন্ ইনদি রাবিবনা অমা-ইয়ায্ যাক্কারম্ন
ইল্লা-উলুল্ আলবা-ব্।’’
এই ‘মাওলা’ বা ‘মাওলানা’ শব্দ ব্যবহার করলে সম্পূর্ণ
কুফ্রি করত: র্শিরক বলে গন্য হবে। এতে সন্দেহ বা কোনও তর্কের অবকাশ নাই।
এই বইটি পড়ে আপনারা এ সর্ম্পকে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন ।