সঠিক ভাবে ইসলাম না মানার কারনে মুসলিম দেশগুলো পিছিয়ে থাকার এক মাত্র কারণ ??
সৈয়দ আমজাদ হোসেন : রাষ্ট্রীয়ভাবে পূর্ণাঙ্গ ইসলামি অনুশাসন না থাকা, অমুসলিমদের
সংস্কৃতি অনুসরণ ও ধর্মহীন শিক্ষার ফলেই ইসলাম মানার মুসলিম দেশের মুসলমানরা পিছিয়ে আছে। সম্প্রতি জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর
হুসেইন আস্কারির গবেষণা প্রতিবেদনে ‘যে সমস্ত দেশ ঐতিহ্যগতভাবে মুসলিম
অধ্যুষিত তাদের তুলনায় ইসলামি মূল্যবোধ ধরে রাখার ক্ষেত্রে অমুসলিম কিছু দেশ বেশ কিছু খেত্রে এগিয়ে রয়েছে’
মূলত: ইসলামি দেশে ধর্মহীন শিক্ষার প্রচলন ও
মুসলিম দেশের শাসকদের, যেমন্ ঈদানিং সৌদি আরব পশ্চিমাদের আনুগত্য ও অনুসরণই
মুসলিমদেরকে ইসলামি
রীতি নীতি মেনে চলায় অনীহা করে তুলেছে। দেশ ইসলামি
হলেও শাসকরা অমুসলিম
দেশগুলোকেই বেশি
বেশি
অনুসরণ করে থাকে। অপরদিকে মুসলিম দেশগুলোর তল্পিবাহক
অমুসলিম দেশগুলোই। ফলে তারা নিজেরাও অমুসলিমদের মতো করে
নিজেদের প্রতিষ্ঠিত
করার চেষ্টা করে।
তাহলে কী সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ধর্মহীন শিক্ষার
প্রচলন শুরু হয়েছে?
এমন
প্রশ্নে হল
আমাদের
মাঝে ধর্মীয় শিক্ষা থাকলেও ধর্ম চর্চা নেই। আমরা দ্বীনের
দাওয়াত ও তাহজিব তামাদ্দুন থেকে দূরে সরে গেছি। বিপরীতে
অমুসলিম দেশের মুসলিমরা তাদের পারিপার্শ্বিক অনৈসলামিক কাজে বিরক্ত
হয়ে ইসলামি চেতনাকে ধরে রাখার চেষ্টা করে। ফলে
সন্ত্রাসী নামে আক্ষায়িত হয় বলে দেখা গেছে? এর জন্য সঠিক প্রতিবাদ কেউ করে ন?
একই প্রশ্ন ?? মধ্যপ্রাচ্যের বা মুসলিম দেশগুলোতে
রাষ্ট্রীয়ভাবে কিছু ইসলামি নীতি পালন করা হলেও পূর্ণাঙ্গভাবে ইসলামি অনুশাসন নেই। মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিমদেরকে অর্থ সম্পদ তাদের
অহংকারি বানিয়ে ফেলেছে? আর অহংকার ও ভোগ বিলাস মানুষকে ধর্ম থেকে অনেক দূরে ঠেলে
দেয়। এরফলেই তাদের মাঝে সুশাসন, মানবতার লঙ্গন ও ধর্মীয়
মূল্যবোধের প্রভাব নেই। ইসলামি রীতি নীতি পালনের
প্রবণতা খুব্ঈ কম। একমাত্র রাষ্ট্রীয়ভাবে
পূর্ণাঙ্গ ইসলামের অনুশাসন, ধর্মীয় শিক্ষা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে তাদের মাঝে
ইসলামি মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। অন্যথায় দিন দিন ঈসলামের ব্যাপক ক্ষতি হবে?
আল্লাহ আমাদের সকলকে বুঝদেল দান করুন। আমীন