অামাদের সম্পর্কে জানতে নিচের লেখাটি পড়ুন

উম্মাতে মুহম্মাদ - আদর্শে ফুরকান

এটি ইসলামিক সংঘ, যার কাজ মানুষকে ধর্ম সম্পর্কে সচেতন করা এবং বিভিন্ন ধরনের সমাজ সংস্কারমূলক কাজ পরিচালনা করা । বর্তমানে এটি বরিশাল বিভাগের ...

ব্লগ থেকে

Filled Under:

শিরকের ঝড়ো হাওয়ায় আজকের মুসলমান : ইতিহাস কী বলে




শিরকের ঝড়ো হাওয়ায় আজকের মুসলমান : ইতিহাস কী বলে

বাক্কামক্কার আদিনামকোরআন এটি উল্লেখ করেছেবালু সাগর আরবিস্তানের একটি উপত্যকালু হাওয়া আর তপ্ত বালুর রাজ্যযেখানে কোনো প্রাণ নেইনেই কোনো সবুজের ছোঁয়ানেই কোনো ফসলের হাওয়াউপত্যকায় প্রবেশ পথটি সরুরুক্ষতৃণগুল্মহীন পাহাড়সারিতাই বুঝি এর নাম বাক্কাঅন্য তিনদিকে সরু গিরিপথ, উত্তর ও দক্ষিণে, আর পশ্চিমে লোহিত সাগর অভিমুখে জনমানবহীন সেই উপত্যকায় প্রভুর নির্দেশে রেখে আসা হলো এক মা ও তাঁর ছেলেকে যেই ছেলের বংশে জন্ম নিবে বিশ্বের সেরা মহামানবভবিষ্যত পৃথিবীর আলোর দিশারীযার হাত ধরে মানবতা পাবে মুক্তিকারা তাঁরা? তাঁরা হলেন মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইবরাহীম আ. এর স্ত্রী হাজেরা এবং শেষ বয়সে তাঁর প্রভুর কাছ থেকে নজরানা পাওয়া কলিজার টুকরা ইসমাইল আ.কোনো খাবার নেই, ক্ষুধায় তৃষ্ণায় জান বের হবার যোগাড়দুধের শিশু তৃষ্ণায় ছটফট করছেতপ্ত মরুভমিতে পানি পাওয়ার কোনো সম্ভাবনাও নেইতবু মায়ের মন! ছুটতে থাকেন এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়, কোথাও কোনো কাফেলা বা পানির হদিস পাওয়া যায় কি না? সেই আশায় সেই পাহাড় দুইটি ইতিহাসের পাতায় সাফা মারওয়া নামে পরিচিত, স্বর্ণাক্ষরে অঙ্কিতএভাবে কয়েকবার ছুটাছুটির পরহঠাৎ পেরেশান হাজেরা লক্ষ করলেন তাঁর মানিকের পায়ের নিচে কি যেন দেখা যায়! কি এগুলো? দৌড়ে আসলেনপানি? হ্যাঁ, পানিইতো! যেন পানির প্র¯্রবণ বয়ে নিয়ে এলো অবিশ্রান্ত জলরাশিকোত্থেকে এলো? চেয়ে দেখেন শিশু ইসমাইলের পায়ের গোড়ালীর আঘাতে তপ্ত বালুকারাশি ভেদ করে পানির ঝরণা চালু হয়ে গেছেখুশিতে বাকরুদ্ধ মা হাজেরা বালুর আল দিয়ে পানি আটকাতে চেষ্টা করতে লাগলেন আর বলতে লাগলেন জমজম... অর্থাৎ থামো থামো তৈরি হলো জমজম কসেই পানি যেমন সুপেয় তেমনি জীবনদায়ী, যেমন শীতল তেমনি তৃষ্ণানিবারণকারী
 সেই থেকে আজো অব্দি লক্ষ-কোটি মানুষের তৃষ্ণা নিবারণ করে চলছেশেষ হওয়ার কোন নাম নেই, কোথায় সেই পানির উৎস? আজকের বিজ্ঞানও যেখানে অচলপানির আকর্ষণে শত শত কাফেলা এ পথে এসেছে, বিশ্রাম নিয়েছে, এই স্থান পেয়েছে গুরত্বপেয়েছে সম্মান
দিন পার হতে লাগলোশিশু ইসমাইল বড় হতে লাগলেনপানির আভাস পেয়ে আস্তে আস্তে সেখানে বসতিও বাড়তে লাগলো ইসমাইল এখন কিশোর, বয়স তাঁর দশ কি এগারপিতা ইবরাহীম তাঁর প্রভুর পক্ষ থেকে আদেশ প্রাপ্ত হলেনতোমার প্রিয় বস্তু আমার রাস্তায় কোরবানী কর চিন্তায় পড়ে গেলেন ইবরাহীম, আমার প্রিয় বস্তু! সেতো, ইসমাইল! প্রভুর পক্ষ থেকে পাওয়া উপহারসাথে সাথেই রওনা হয়ে গেলেন বাক্কার পথে, আল্লাহর আদেশ পালনার্থেপুত্রকে খুলে বললেন আল্লাহর আদেশের কথানবীপুত্র BmgvBj এক কথায় রাজী, আসতে লাগলেন কোরবানী হতেমা হাজেরা একবারও বলেননি ১০ টি বৎসর জনমানবহীন প্রান্তরে ফেলে রেখেছেন, এখন আমার ছেলেকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন পিতা পুত্র চলতে লাগলেন আল্লাহর আদেশ পূর্ণ করতেপথে, মানবজাতির চূড়ান্ত দুষমন তাদের মনে প্রবঞ্চনা দিয়ে বাঁধা সৃষ্টি করতে থাকেতাঁরা তখন সেই দুষমনকে পাথর নিক্ষেপ করে দূরে সরিয়ে দেনইসলাম সেই ইতিহাস জীবন্ত রেখেছে, কিয়ামত hর্ন্তই জীবন্ত থাকবেকোরবানী হতে প্রস্তুত কিশোর  ইসমাইল তাঁর পিতাকে বললেন, ‘আমি আপনার আদরের সন্তান, আমাকে কোরবানী করতে গিয়ে আপনার মায়া হতে পারেহাত কেঁপে যেতে পারেআপনি আপনার চোখদুটি বেঁধে তারপর আমাকে কোরবানী করুনকিন্তু মালিক ভেবে রেখেছেন অন্য কিছু, যার বংশের এক মহামানবের হাতে সৃষ্টি হবে এক বিষ্ময় জাগানিয়া জাতির, তৈরি হবে নতুন ইতিহাস, সেই ইতিহাস ¯ªষ্টার ইতিহাস যে এখানেই শেষ হওয়ার নয়আল্লাহ পাক জাতির পিতার কোরবানী কবুল করে নিলেনসেই সাথে ফেরেশতাদের আদেশ দিলেন বেহেশত থেকে পশু নিয়ে ইসমাইলের স্থলে কোরবানী করতেসেই থেকে আজো পৃথিবীর কোটি কোটি মুসলমান হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালামের সুন্নত হিসাবে ওয়াজিব মেনে ত্যাগের মহিমায় কোরবানী করে থাকেআর বাক্কা, নবী পিতা-পুত্রের বদৌলতে পৃথিবীর মানচিত্রে মক্কা হয়ে স্বমহিমায় মহামান্বিত হয়ে আছেথাকবে, যতদিন এই ধরার বুকে সূh©¨ আলো দেবেযতদিন চাঁদ তার মায়াবী জোসনায় আমাদের মুগ্ধ করবে
 সেখানে আল্লাহর ঘর বায়তুল্লাহপৃথিবীর মধ্যস্থলে যার অবস্থান ভৌগলিকবিদরা পৃথিবীর যেই ম্যাপ অংকন করেছে সেখানে দেখা যায় কাবাঘরটিই পৃথিবীর সেন্টারেউত্তর মেরু উপরে দক্ষিণ মেরু নিচে রেখে যেই ম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে সেখানে ক্বাবা সেন্টার আবার বিপরীতমুখী ম্যাপেও ক্বাবাঘর সেন্টার। (দক্ষিণ মেরু উপরে আর উত্তর মেরু নিচে।) নূহ আ. এর কওমকে ধ্বংসকারী প্লাবনে ক্বাবাঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়সেই ঘর আবার আল্লাহ তাআলা মেরামত করান ইবরাহিম আ. ও তার ছেলে ইসমাইল আ. এর হাতে
দিন যেতে থাকে জাহিলিয়্যাতের অন্ধকারে ছেয়ে যেতে থাকে এই পৃথিবীআল্লাহর ঘর ক্বাবাকে ঘিরে শুরু হয় মূর্তিপূজাএমনকি ক্বাবাঘরের ভেতরেও স্থাপন করা হয় মূর্তি ঈসা আ. কে আল্লাহ তায়ালা তুলে নিয়ে গেছেন অনেকদিনঘুটঘুটে অন্ধকারে ছেয়ে আছে পৃথিবীকোথাও কোনো আলো নেইমানুষের জীবনের কোনো মূল্য নেইকথায় কথায় খুন, রাহাজানী আর ডাকাতি যেখানে নিত্যদিনের রুটিনবর্বরতা যাদের শিল্প মেয়ে হয়ে জন্ম নেয়া যেখানে অভিশাপ, জীবন্ত কবরস্থ হওয়াই যাদের নিয়তিসেই কালো যুগেপ্রায় ৬০০ বছর হয় হয়রাব্বে কারীমের পক্ষ থেকে কেউ আসেনি এই মাটির পৃথিবীতেঅন্ধকারাচ্ছন্ন জনপদে আলোর দিশা দিতেপথহারা নাবিকের বাতিঘর হয়ে ৫৭০ ঈসভীসুবহে সাদিকএই ধরার বুকে উদিত হয় একটি নাম লেখা হয় একটি ইতিহাসতাঁর বর্ণনা দিবে কোন সে কলম? তাঁর স্তুতি গাইবে কোন সে শিল্পী? শুধু বলবো যার জন্য এত অপেক্ষাএত আয়োজনসেই মহামানব হযরত মুহাম্মাদ সা. আগমন করেন এই মাটির পৃথিবীতেযার আগমনে ইরানে হাজার বছর ধরে প্রজ্জ্বলিত অগ্নিকুÛ নিভে যায়দিকে দিকে জ্বলে উঠে লা শারীকাল্লাহ ঈমানী আলোমানবতার অগ্রদূত, শান্তির শুভ্রকপোত আলোর দিশারী একজন বিপ্লবী জন্ম নেয়কিন্তু সেই মহামানবকে তাঁর জন্মভূমি মক্কায় থাকতে দেয়নি নরাধম আবু জেহেল ও তার চেলারাতিনি চলে যান মদীনায়সেখানে হযরত মুহাম্মদ সা. কে রাজার বেশে বরণ করে নেয়ধন্য মদীনাধন্য মদীনার ভাগ্যবান আনসারীরা সেখান থেকেই নবী মুহাম্মদ সা. তাঁর মিশন ছড়িয়ে দেন পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তেসেই থেকে শুরুমুহাম্মদী আদর্শের বিপ্লবী সন্তানেরা ১৫০০ বছর ধরে পৃথিবীর বুকে শান্তির বার্তা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেকাজ করে যাবে কেয়ামত র্ন্ত আল্লাহর দুনিয়ার তার রাজ কায়েম করা র্ন্ত সেই মিশনের কোনো সমাপ্তি নেই
৬৩০ ঈসভীঅষ্টম হিজরীমুসলমানের মহা বিজয়ের দিনপৃথিবী থেকে মূর্তিপূজা চিরতরে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার দিনআল্লাহ রাসুল সা. সেদিন মহা বিজয়ীর বেশে প্রবেশ করেন তাঁর জন্মভ~মিতে এক মহান বিজেতা হয়েসৃষ্টি করেন এক অনবদ্য ইতিহাসঅবাক পৃথিবী তাকিয়ে দেখে এক যুগন্তকারী বিজয়ী বীরকে বিজয়ীর চেহারায় অহংকারের কোনো লেশমাত্র নেইআছে ¤ªরতা, ভদ্রতা আর তার রবের কাছে শোকর গুজারকারীর এক মোহময় আবেশনেই কোনো ঔদ্ধত্যআছে ক্ষমার মহত্বপ্রতিশোধের কোনো কথা নেইআছে বুকে জড়িয়ে নেয়ার মোহনীয় উচ্চারণ মক্কা এখন রাসুল সা. এর পতাকাতলেহুজুর ধীর পায়ে প্রবেশ করলেন ক্বাবা ঘরে হাতের লাঠি উঁচিয়ে ধরলেনআঘাত করলেন শত দেব-দেবীর শিরকী মূর্তিতেদীপ্ত কণ্ঠে নবী ঘোষণা করলেনতেলাওয়াত করলেন সত্য এসে গেছে এবং মিথ্যা (চিরতরে) বিলুপ্ত হয়ে গেছেঅবশ্য মিথ্যাকে বিলুপ্ত হতেই হবেসেদিন থেকে শুরু হওয়া শিরকী মূর্তির বিরুদ্ধে লড়াই আজো চলমানকিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য gymjgvb নামধারী মুসলমানের বাচ্চারা আজ মূর্তিপূজায় অংশ নিচ্ছেইসলামী মূল্যবোধের শিক্ষা না থাকার কারণে ধর্ম যার যার, উৎসব সবারশয়তানি ‡¯øvগানে নিজেকে শামিল করছে শিরকের মিছিলেশিরক মুক্ত করার জন্য রক্ত, ঘাম এমনকি দেশ ছাড়তে হয়েছে আমার নবীকেআজ সেই নবীর উম্মত দাবী করে আমরা ঘরে ঘরে মূর্তিপূজা শুরু করে দিয়েছিভারতীয় সিরিয়াল নামক হিন্দুয়ানী সংস্কৃতিকে আমরা আমাদের শোবার ঘরে ঢুকিয়ে প্রক্ষান্তরে দেব-দেবীকেই সঙ্গে নিয়ে ঘুমাচ্ছিতাদের জায়গা করে দিচ্ছি নিজেদের ও কোমলমতি সন্তানদের মন-মস্তিষ্কেচোখে তাদরে দৃশ্য, কানে তাদের আওয়াজ, বুকে তাদের চিত্র, চেতনায় তাদের চিহ্নঈমান হারা মুসলমানের খোলস আমরাএকজন মুশরিকেরে চেয়ে কম কি সে? দুঃখে অন্তর ফেটে যায়তাই মুসলমানদের কাছে করজোড় অনুরোধ থাকবে যেই মূর্তি ধ্বংস করার জন্য আমার নবী তায়েফের ময়দানে রক্ত ঝরিয়েছেন, ওহুদ প্রান্তরে দন্ত মোবারক শহীদ করিয়েছেন সেই নবীর উম্মত দাবী করে আমরা যেন মূর্তিপূজায় অংশগ্রহণ না করিযদি অংশগ্রহণ করতেই হয় তবে নবীর উম্মতের খাতা থেকে নাম কেটে ভিন্ন পরিচয়ে করা চাইআল্লাহ আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন নবী আদর্শে জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন
তাই আসুন বাংলাদেশে একটি পূনাঙ্গ দ্বীন-ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য সকল ইসলামী দলের নেতাসহ প্রত্যেক মুসলমান ভাই-বোনদের প্রতি আহব্বান জানাচ্ছি, আর দলা-দলি নয়, হানা-হানি নয়, সন্ত্রাসী নয়, একে অন্যকে তৃস্কার আর কাঁদা ছোড়া-ছুড়ি না করে, কসল মুসলমান ভাই-ভাই এই হাদীসের আলোকে এবং সংঙঘ বদ্ধ ভাবে আল্লাহর রজ্জুকে আঁকড়ে ধর শক্তভাবে পবিত্র কোরআনের এই নিদেশ মোতাবেক আমরা সব মতদন্ধো ভুলে গিয়ে আমরা সবাই একই উম্মুআফএর দল ভুক্ত হয়ে যাইআর আল্লাহর জমিনে আল্লাহ প্রদত্ত বিধান আল-কোরআনের আইন বাস্তবায়ীত করিআল্লাহ আমাদের সহায় হউনআর বর্জ কন্ঠে কন্ঠে আওয়াজ তুলুন:-
সব মুসলিম ভাই ভাই, দ্বীন-ইসলামে বহু দলের স্থান নাই
সব মুসলিম ভাই ভাই, দ্বীন-ইসলামে বহু দলের যায়েজ নাই
নবী মোদের মুহম্মাদ আমরা সবাই একজামাত
উম্মুআফ, উম্মুআফ, উম্মুআফ।।
দুনিয়ার মুসলিম এক হও, মুষ্ঠি বদ্ধ সপদ লও
আল্লাহর রাহে সত্য পথের শরিক হও
শক্ত হাতে আল্লার রজ্জু ধর,
  মোনাফিক আর জালেমদের কে পরিত্যাগ কর, পরিত্যাগ কর।।
আল্লাহ আমাদের ঐক্য বদ্ধ হওয়ার তৌফিকদান করুন
  Mobile.                 01630834961


Copyright @ 2013-15 উম্মাতে মুহম্মাদ - আদর্শে ফুরকান.