.

অামাদের সম্পর্কে জানতে নিচের লেখাটি পড়ুন

উম্মাতে মুহম্মাদ - আদর্শে ফুরকান

এটি ইসলামিক সংঘ, যার কাজ মানুষকে ধর্ম সম্পর্কে সচেতন করা এবং বিভিন্ন ধরনের সমাজ সংস্কারমূলক কাজ পরিচালনা করা । বর্তমানে এটি বরিশাল বিভাগের ...

ব্লগ থেকে

যে কারণে একই সময় রোজা রাখতে পারে না মুসলিম বিশ্ব

সৈয়দ আমজাদ হোসেন : বাংলাদেশসহ বিশ্বের কিছু এলাকায় সৌদি আরবকে অনুসরণ করে রোজা পালন করা হয়দিন দিন এ প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে  এ বিষয়টি নতুন ও মুখরোচক হওয়ার কারণে অনুসারীর সংখ্যাও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছেএমনি একটি ইসলামের অ-মৌলিক ইস্যুতে বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে একটি জাতীয় বিভক্তি পরিগ্রহ করছে; যা কারোই কাম্য হতে পারে নাএকে তো মুসলমানদের মাঝে ঐক্যের বড়ই অভাবনতুন এ বিষয়টিও সমাজে আরও ফেতনা সৃষ্টি করছে

পবিত্র রমজানুল মুবারকের সিয়াম পালনের জন্য মুসলমানগণ দিনক্ষণ হিসাব করেনএ হিসাব নির্ধারণের জন্য চাঁদকে সময়ের মানদন্ড ধরবে নাকি সূh©¨কে সময়ের মানদন্ড ধরবে এটি হচ্ছে মুখ্য বিষয়যেহেতু বিষয়টি ইসলামের, তাই কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বরচিত কোন বিধান কারো উপর চাপিয়ে দেয়ার অধিকার আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কাউকে দেননিআবহমানকাল থেকে মুসলমানগণ চাঁদ দেখে তাদের যাবতীয় ধর্মীয় কার্ক্রম পরিচালনা করে আসছেকিন্তু হঠাৎ করে কোন কারণে প্রশ্ন দেখা দিল যে, মুসলমানগণ চাঁদ দেখে দিনক্ষণ হিসাব করবে নাকি সূ দেখে ক্যালকুলেশন করে আগে থেকে নির্ধারিত সময়ে রোজা পালন করবে, না সৌদি আরবের সাথে মিলিয়ে রোজা পালন করবে? এ নিয়ে বিভিন্ন প্রকার জটিলতা বিরাজ করছেআসুন এই জটিলতার জট খুলতে একটু পh©¨vলোচনা করি যে, আসলে সময় বা দিন তারিখ তথা সময় নির্ধারক কোনটি, চাঁদ নাকি সূh©¨?
মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারা তোমাকে নতুন চাঁদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেতুমি বলে দাও, তা মানুষের জন্য সময় নির্ধারক এবং হজের সময়েরও (তারিখ) নির্ধারক(সূরা বাকারাহ- 2:189
*3
রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমরা রোজা রাখবে না, যে পhর্ন্ত না চাঁদ দেখতে পাওএকইভাবে তোমরা রোজা ভঙ্গ (ঈদ) করবে না, যে পhর্ন্ত না শাওয়ালের চাঁদ দেখতে পাওতবে যদি মেঘের কারণে তা তোমাদের কাছে গোপন থাকে, তবে শাবান মাস পূর্ণ করবে ত্রিশ দিনেঅপর বর্ণনায় আছে, তিনি (সা.) বলেন, মাস কখনও ঊনত্রিশ দিনেও হয়।(সূত্র : সহিহ বুখারি-৩য় খন্ড, ১৭৮৫-১৭৯০, সহিহ মুসলিম-৩য় খন্ড, ২৩৬৭-২৩৯৪)
হযরত আদম থেকে অদ্যাবধি এ পৃথিবীতে আল্লাহর সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ বসবাস করছেএতো বিশাল সময়ে কালের প্রবাহে মানুষ তাদের প্রয়োজনে সময়, দিন, তারিখ, জোয়ার-ভাটার হিসাব করেছেকখনো সূ‡h©¨, কখনো চাঁদের হিসাব করেছে এতে মানব সভ্যতার তেমন কোন সমস্যা হয়নিকেন হয়নি? কারণ মানুষকে গাইড করেছেন স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন
১৫ শতাধিক বছর পhর্ন্ত মুসলমানগণ চাঁদের হিসাবে বার গুনেছে এবং সেই অনুযায়ী বিভিন্ন দ্বীনি কার্ক্রম পরিচালনা করেছেনতাতে সূ‡h©¨র হিসাবে বার গণনা করেননিমনে করুন, আজকে রবিবারআজ রাত আসার সাথে সাথেই মুসলিম মনীষীগণ একে সোমবার বলেছেনকিন্তু সূ‡h©¨র হিসাবে আমরা রাত ১২টা থেকে বার গণনা করে থাকিসেজন্য চাঁদের বার এবং সূ‡h©¨র বার এক নয়ধরুন, মরক্কোতে রাত আসার সাথে সাথে মাসের প্রথম চন্দ্র দেখা গেলতার মানে সেই রাত থেকেই নতুন মাস গণনা করা শুরু হয়ে গেছে, ঠিক তেমনি ভারতেও যদি চাঁদ দেখা যায় তাহলে সেখানেও প্রথম দিন গণনা শুরু হয়ে গিয়েছে
এবার ধরুন, সেই নতুন মাসটি রমজানতাহলে ভারতের রাত হলো রমজান মাস, ঠিক তেমনি মরক্কোর মাস হলো রমজান মাস, কিন্তু সূ‡h©¨র হিসাবে তা একই দিন নয় এমনকি এদের মধ্যে সূ‡h©¨র হিসাবে ০ দিন কিংবা ১ দিন কিংবা ২ দিনের মতো পার্থক্যও হতে পারেকিন্তু চাঁদের হিসেবে কোন পার্থক্য নেই
একই দিনে রোজাশুধু ভিন্ন দেশে নয়; এক দেশের ভেতরেই সমস্যা ঘটাতে পারেযেমন- বাংলাদেশের চট্টগ্রামে সেহরির ৫ মিনিট পূ‡e© খবর এলো, আমেরিকায় চাঁদ উঠেছেএমতাবস্থায় চট্টগ্রামবাসী কোনোক্রমে হয়তো সেহরি সম্পন্ন করল, কিন্তু রাজশাহীবাসী যাদের ব্যবধান চট্টগ্রাম থেকে ১৩ মিনিট তারা কী করবে? একই দেশে অবস্থান করেও তারা রোযা রাখতে পারবে না
তাই স্ট্যান্ডার্ড টাইম জোনকে সামনে রেখে পৃথিবীকে যে অঞ্চল ভিত্তিক ভাগ করা হয়েছে, সেই হিসেবকে সামনে রেখে স্থানীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে রোজা এবং আরবি তারিখ গণনা করাটাই যুক্তিযুক্ত
চাঁদের সময় গণনা সম্পর্কে ইসলামের কতিপয় দলিলÑহাদিস শরীফে এসেছে, ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা চাঁদ দেখে সিয়াম পালন কর এবং চাঁদ দেখে ঈদ উদযাপন করযদি চাঁদ অদৃশ্যমান থাকে তবে ৩০ দিন পূর্ণ কর
আনাস ইবনু মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাহাবী আমার কতিপয় আনসার পিতৃব্য আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, একবার শাওয়ালের নতুন চাঁদ (ঈদের চাঁদ) আমাদের নিকট অদৃশ্য থাকেআমরা পরের দিন অর্থাৎ ঈদের দিন সিয়াম পালন করিএমতাবস্থায়, ঐ দিনের (ঈদের দিনের) শেষভাগে একটি কাফেলা নবী (সা.)-এর কাছে এসে বিগতকাল চাঁদ দেখার সাক্ষ্য প্রদান করেনতখন রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের সিয়াম ভাঙতে নির্দেশ দিলেন
(আবু দাউদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদ, হাদিস নং-১১৫৭, ২৩৩২/ হুসাইন আল মাদানী প্রকাশনী, হাদিস নং-১১৫৭, ২৩৩৯, ইবনে মাজাহ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত ১৬৫৩)
অতএব বাংলাদেশে যারা সৌদিআরবের সাথে মিল রেখে সিয়াম পালন করে আর  ঈদ উদযাপন করেন? তাঁরা কি উপরে উল্লিলিখিত কোরআনের আয়াত এবং হাদীস কে মানেন বা বিশ্বাস করেন? ৩.৩০ ব্যাবধানে সৌদিআরবের সাথে আমাদের সূর্য্য উদয় হয়? তা হলে এটি কি ভাবে একই দিনে তাাঁদের সাথে সিয়ম পালন করা যায়? এমতে যারা আছেন তাঁরা আছেন কোরআন-হাদীস পরিপন্থি কারী, বিভ্রান্তকারী, ধর্মের মধ্যে ফিত্না-ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারী? পবিত্র আল-কোরআন এদেরকে বলেছেন,সুরা বাকারা ২:১৯১ আয়াতে বলেন,

         ফেৎনা ফ্যাসাদ যুদ্ধ হত্যার চেয়ে কঠিন  

                                                                                                    

সুরা আল-মোনাফিকুনের ৬৩:১-৪ আয়াতে এদের সন্ধে বর্ননা করেছেন। এবং এদের থেকে সাবধান থাকতে বলেছেন আর ইলামের দুশমন বলে অভিহিত করেছেন?

৬৩:২। ওদের কওমকে ঢালরূপে ব্যবহার করে এভাবে ওরা নিবৃত্ত করে, মানুষকে আল্লাহর পথ হইতে; ওদের কর্মকান্ড নিত্যান্ত জঘন্য।

৬৩:৩। তা এজন্যে যে, ঈমান আনার পর কুফরী করিয়াছে, তাই মোহর করা হইয়াছে ওদের অন্তরে, ফলে ওরা বুঝেনা।




৬৩:৪। ওদিগের প্রতি তাকাইলে ওদের অবয়ব তোমার সুন্দর মনে; আর ওরা কথা বলিলে ওদের সাগ্রহে শোন, যদিও ওরা প্রাচিরে ঠেকানো কাঁঠের বেøাক এর মত(কাঁঠেরটুকরা) যে কোন উচ্চবাচ্য (শোরগোল) শুনিলে ওরা ভাবে ওদের বিরুদ্ধে (বলা হইয়াছে), ওরাই (শত্রæ) দুশমন, (সাবধান থাক) ওদিগে বর্জন কর; আল্লাহ ওদিগে বিনাশ (অভিষাপ দিচ্ছে) করুক কোথায় যাচ্ছে ওরা?

অতএব সত্যিকার দ্বীনদার মূসলন ভাই-বোনদেরকে অনুরোধ করছি, কখনও তাঁদেরকে অনুস্বরন করবেন না? কোন ফিত্না-ফ্যাসাদের সাথে জড়িয়ে ঈমান হারা হবেন না? আল্লাহ আমাদের কে বুঝদেল দান করুন। আমীন।

তিনটি বিশেস গুরুত্বপূণ প্রশ্ন


                  “বিছমিল্লাহির রহমানের রাহিম”
তিনটি বিশেস গুরুত্বপূণ প্রশ্ন?
আল্লাহ তা’য়াল তার সমস্ত সৃষ্টি কুলের মধ্যে যতকিছু নেয়ামত হিসেবে দান করেছেন তার মধ্যে সব চেয়ে মূল্যবান কি?
উত্তর : সবচেয়ে মূল্যবান হচ্ছে জ্ঞান ! যে যত জ্ঞানী মহান আল্লাহর দরবারে সে তত নৈকট্য লাভের অধিকারী । আল্লাহ হচ্ছেন অসীম জ্ঞানের অধিকারী আর মানুষকে দিয়েছেন সসীম জ্ঞান। আর এই সসীম জ্ঞানের মধ্যে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহম্মাদ সা: ছিলেন সর্বজ্ঞানে পরিপূর্ণ বিজ্ঞ, তাই তো তিনি ছিলেন সমস্ত সৃষ্টি কুলের শিরোমণি এবং সর্বাধিক আল্লাহর নৈকট্য ও প্রিয় বন্ধু । তাই আল্লাহ সমস্ত কিছু সৃষ্টি করে তার রহমত স্বরুপ হিসেবে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন । আমাদের দ্বিনের নবী জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যতকিছু কথা বা বাক্য এবং কাজ কর্ম করেছেন সবই ছিল বিজ্ঞানসম্মত । আজ বিজ্ঞান প্রমান করে যে তার প্রতিটি কাজকর্ম বিজ্ঞানের সাথে নীবিড় ভাবে সংযুক্ত বা সম্পর্কিত । যাহা মানুষ এবং সৃষ্টিকুলের মঙ্গল এবং কল্যানের অন্তর্ভুক্ত । তাই তো বলা হয় বিজ্ঞান জ্ঞানের পিতা (knowledge is the father of science)। সমস্ত সৃষ্টির রহস্যেরমূলে রয়েছে জ্ঞানের  গভিরতা।তাই তো মহান আল্লাহ তায়ালা অসীম জ্ঞানের অধিকারীএবং এই জ্ঞানের রহস্যমূলে রয়েছে সকল সৃষ্টিকুল । তাই তো কুরআন এর ভাষায় তার নাম হাকীম ।
দ্বিতীয় প্রশ্নটি হল সবচেয়ে আশ্চায্য মূল্যবান বস্তু কি?...উত্তর হল মাটি?..তৃতীয় প্রশ্ন হল? কেন আল্লহ সৃষ্টি করলেন?..উত্তর হল নিজের আত্বপরিচয় প্রকাশের জন্য?

হজরত ইমাম মাহ্দী ও ঈসা (আ:)-এর শুভ

হজরত ইমাম মাহ্দী ঈসা (:)-এর শুভ  সৈয়দ আমজাদ হোসেন :
বর্তমান পৃথিবী যুদ্ধ-বিগ্রহ, দূর্নীতি, হিংসা হানাহানিতে ভরে গেছে। ব্যক্তিগত সামাজিক সকল ক্ষেত্রে মানুষের নৈতিক অবক্ষয় আজ চরম পর্যায়ে চলে গেছে। সিরিয়ায় বর্তমানে যে যুদ্ধ চলছে, এই যুদ্ধ বন্ধ করার মত কোন শক্তি পৃথিবীতে নাই। এই যুদ্ধে পৃথিবীর ৮০টি রাষ্ট্র যুক্ত হবে এবং সর্বশেষ এটা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরিণত হবে। হাদিস অনুযায়ী একমাত্র হজরত ইমাম মাহদী (আঃ)- পৃথিবীতে মহাশান্তি ফিরিয়ে আনতে পারবেন। তাই ইমাম মাহদী আগমনের ঘটনাটি বর্তমান পৃথিবীর মানুষের জন্য একটি বিরাট ঘটনা। আল্লাহপাকের অশেষ রহমতে আমরা বিস্তর গবেষণার মাধ্যমে ইমাম মাহদীর আগমনের বছরটি খুঁজে পেয়েছি। এজন্য আল্লাহ তায়ালার অশেষ শুকরিয়া আদায় করছি। আখেরী জামানার এই সর্বশ্রেষ্ঠ ঘটনাটি, আল্লাহর হাবীব রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর বংশধরের মধ্য হতে হজরত ইমাম মাহ্দী (আঃ)-এর শুভ আগমনের সেই বহুল প্রতিক্ষীত বছরটি আল্লাহ্ তায়ালার অশেষ রহমতে আমরা আবিষ্কার করে সারা পৃথিবীর মানুষের কল্যাণের জন্য জানিয়ে দিলাম যাতে করে মানুষ সতর্ক প্রস্তুতি নিতে পারে, তা না হলে বর্তমান পৃথিবীর আনন্দ উল্লাসে গা ভাসিয়ে দিলে দাজ্জালের ফিতনায় পড়ে জীবন শেষ হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে। এখন সামনে কি কি ঘটনা ঘটবে, দাজ্জালের ফিতনায় পড়ে মানুষ কিভাবে ইমান হারাবে, ঈমাম মাহদী ইসা (আঃ)-এর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কিভাবে পৃথিবীতে মহা শান্তি ফিরে আসবে, তা উল্লেখ করা হলঃ
নীচের ৫টি হাদীসে উল্লেখ আছে যে, যে বছর রমজানে সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণ হবে, সেই বছরই ইমাম মাহ্দীর আর্বিভাব হবে। হাদীসে এটাও উল্লেখ আছে যে, মহাবিশ্বের শুরু হতে শেষ পর্যন্ত এরকম চন্দ্র সূর্য গ্রহণের ঘটনা মাত্র একটি বছরেই ঘটবে। হাদীসগুলো এইঃ () আল বুরহান ফি আলামাতিল মাহদি গ্রন্থের ৩৮ পৃষ্ঠায় আল্লামা মুত্তাকি (রঃ) একটি হাদিস উদ্ধৃত করেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন, “যে বছর রমজান মাসের প্রথম দিকে সূর্যগ্রহণএবং রমজান মাসের শেষের দিকে চন্দ্রগ্রহণের ঘটনা ঘটবে, সেই বছরই ইমাম মাহদীর আবির্ভাব হবে।() আল কাওলুল মুখতাছার গ্রন্থের ৫৩ পৃষ্ঠায় একটি হাদীস উল্লেখ রয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন, “যে বছর রমজান মাসে দুটি গ্রহণের ঘটনা অনুষ্ঠিত হবে, সেইবছরইইমাম মাহদীর আবির্ভাব হবে। () ইমামুল আকবারআলী বিন ওমর আল দারাকুতনিরসুনানে দারাকুতনি গ্রন্থে একটি হাদিস সঙ্কলিত হয়েছে, মোহাম্মদ ইবনে আলী ইবনে আল হানাফিয়্যাহ (রঃ) বলেছেন, সাইয়্যেদেনা ইমাম মাহদি (আঃ)-এর আবির্ভাবের দুটি নিদর্শন রয়েছে, যা আকাশমন্ডল মন্ডলসৃষ্টির পর থেকে কখনো দৃষ্টিগোচর হয়নি, নিদর্শন দুটি হলোঃ যে বছর চন্দ্রগ্রহণ সূর্যগ্রহণ রমজান মাসেই ঘটবে, সেই বছরই ইমাম মাহ্দীর আবির্ভাব হবে। () ইমাম রব্বানি মুজাদ্দেদী আলফেসানী (রহঃ)-এর মাকতুবাতে রাব্বানী (রাব্বানির প্রত্রাবলী)- ৩৮০ নম্বর পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, Ôযে বছর রমজান মাসের প্রথমদিকে সূর্যগ্রহণ ঘটবেএবং রমজান মাসের ১৪ তারিখে চন্দ্রগ্রহণ ঘটবে, সেই বছরই ইমাম মাহদীর আবির্ভাব হবে। () ইমাম কুরতুবী (রঃ) রচিত কিতাব মুখতাছার তাজকিয়াহ্ গ্রন্থের ৪৪০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, সাইয়্যেদেনা ইমাম মাহদী (আঃ)-এর আগমনের পূর্বে দুটি গ্রহণ রমজান মাসেই ঘটবে। () নুয়ায়েম ইবনে হাম্মাদ (রঃ) রচিত কিতাবুল ফিতাb  গ্রন্থে সতর্কতামূলক বাণী উল্লেখ করা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন, Ôতোমরা যখন রমজান মাসে সূর্যগ্রহণ চন্দ্রগ্রহণের ঘটনা প্রত্যক্ষ করবে, তখন এক বছরের খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করে রাখবে।
উপরোক্ত হাদীসগুলোতে বলা হয়েছে, যে বছর রমজান মাসে চন্দ্রগ্রহণ সূর্যগ্রহণ হবে সেই বছরই ইমাম মাহাদীর আগমন ঘটবে। সেই বছরটা যে কবে হবে তা আল্লাহপাকের অশেষ রহমতে আমরা দীর্ঘ গবেষণার মাধ্যমে খুঁজে বের করতে পেরেছি। আখেরী জামানার শ্রেষ্ঠ ঘটনাটি, আল্লাহর হাবীব রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর বংশধরের মধ্য হতে হজরত ইমাম মাহ্দী (আঃ)-এর শুভ আগমনের বছরটি আল্লাহ্ তায়ালা সারা পৃথিবীর মানুষকে জানাতে চান। এজন্য আল্লাহ তায়ালার অশেষ শুকরিয়া আদায় করছি
এই সালটা আমি কিভাবে বের করেছি সেটা নীচে বর্ণনা করা হলোঃ () প্রথমে প্রতি বছর রমজান কোন তারিখে শুরু হবে সেটা বের করেছি। যেমন ২০১৯ সালের রমজান কত তারিখে শুরু হবে, ২০২০ সালে কত তারিখে, ২০২১ সালে কত তারিখে ইত্যাদি। এই ভাবে ২০৫০ সাল পর্যন্ত একটি লিস্ট তৈরী করেছি। () প্রতি বছর চন্দ্রগ্রহন সূর্যগ্রহন কত তারিখে হবে সেটা বের করার জন্য ঘঅঝঅ-এর ওয়েবসাইট ব্যবহার করেছি যেখানে আগামী ১০০ বছরে কোন বছর কত তারিখে চন্দ্রগ্রহন সূর্যগ্রহন হবে-তার ডাটা টেবিল আকারে উল্লেখ আছে। Ôনাসাহচ্ছে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এই নাসা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে বড় বড় সরকারী প্রজেক্টের মাধ্যমে নির্ভূলভাবে গবেষণা করে বলতে পারে যে, প্রতি বছর কোন্ তারিখে, কত মিনিটে কত সেকেন্ডে চন্দ্র সূর্য গ্রহণ হবে
() এরপর রমজান মাসের তালিকা এবং চন্দ্রগ্রহন সূর্যগ্রহনের তালিকা পাশাপাশি রেখে দেখা গেল যে, ২০২৬ সালে যে তারিখে রমজান শুরু হবে সেই তারিখে সূর্যগ্রহন হবে এবং বছর রজমানের ১৫ তারিখে চন্দ্রগ্রহন হবে। ২০২৬ সালে রমজান শুরু হবে ১৮ই ফেব্রুয়ারী এবং নাসার হিসাব অনুযায়ী ২০২৬ সালে ১৭ই ফেব্রুয়ারী সূর্গ্রহণ হবে। বছর রমযানের ১৫ তারিখ পড়ে ৩রা মার্চ। আর নাসার হিসাব অনুযায়ী চন্দ্রগ্রহণ হবে ৩রা মার্চ। অর্থাৎ হাদিস নাসার তথ্য অনুযায়ী ২০২৬ সালে ইমাম মাহ্দী (আঃ)-এর আবির্ভাবের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। ইমাম মাহ্দী সঠিকভাবে কবে আসবেন-এটা আল্লাহ্পাক ছাড়া কেউ বলতে পারবে না। তবে হাদীসে যে ইঙ্গিতটা উল্লেখ করা আছে, সেই হিসাবে ২০২৬ সালে ইমাম মাহ্দী (আঃ)-এর আবির্ভাবের সম্ভাবনা কতটুকু সেটাই উল্লেখ করেছি মাত্র। সমস্ত জ্ঞানের অধিকারী একমাত্র আল্লাহ্ তায়ালা
 নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, দাজ্জালের আবির্ভাবের পূর্বে তিনটি দূর্ভিক্ষের বৎসর আসবে। উহাতে মানুষকে দুঃসহ অনাহার অনশন ভোগ করতে হবে। প্রথম বৎসর আল্লাহর আদেশে এক তৃতীয়াংশ বৃষ্টির বর্ষণ এবং পৃথিবী এক তৃতীয়াংশ শস্যাদির উৎপাদন বন্ধ করে দিবে। দ্বিতীয় বৎসর দুই তৃতীয়াংশ বৃষ্টির বর্ষন কমে যাবে উৎপাদন দুই তৃতীয়াংশ কম হবে। তৃতীয় বৎসর আল্লাহর আদেশে আকাশ বৃষ্টি বর্ষণ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিবে। উহা হতে এক বিন্দু বৃষ্টিও বর্ষিত হবে না। সেই বৎসর আল্লাহর আদেশে পৃথিবী শস্যাদির উৎপাদন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিবে। উহা হতে কোনো সবুজ উদ্ভিদই উৎপন্ন হবে না। ফলে আল্লাহ যে পশুকে (জীবিত রাখতে) চাইবেন, তা ব্যতীত সকল তৃণভোজী পশুই ধ্বংস হয়ে যাবে
উপরের হাদীস অনুযায়ী, ২০২৬ সালে যদি ইমাম মাহদীর আবির্ভাব ঘটে, তবে প্রক্রিয়াটা শুরু হবে আরো তিন বছর আগে থেকে অর্থাৎ ২০২৩ সাল থেকে। কারণ, ২০২৩ সালে আকাশ হতে বৃষ্টিপাত তিনভাগের একভাগ কমে যাবে। ২০২৪ সালে বৃষ্টিপাত তিনভাগের দুইভাগ কমে যাবে। ফলে পৃথিবীতে ফসল উৎপাদন কম হবে। মানুষ এবং অন্যান্য জীবজন্তু ব্যাপকহারে মারা যেতে থাকবে। ২০২৫ সালে হাদীস অনুযায়ী কোন বৃষ্টিপাত হবে না। ফলে মানুষ এবং জীবজন্তু কঠিন অবস্থায় মধ্যে পড়ে যাবে। সেই বছরই দাজ্জালের লোহার শিকল খুলে দেয়া হবে এবং সে সারা পৃথিবীতে বিচরণ করবে এবং মানুষের সামনে এসে ঈমান হরণ করে নিবে। যেহেতু পর পর তিন বছর অনাবৃষ্টির ফলে পৃথিবীর মানুষ জীবজন্তু চরম খাদ্যভাবে পড়ে যাবে। তাই হাদীসে খাদ্য সঞ্চয় করে রাখার কথা বলা হয়েছে। মানুষ খাদ্য পানির অভাবে যখন ত্রাহী ত্রাহী অবস্থা তখন দাজ্জাল তার বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে এবং খাদ্যের ভান্ডার নিয়ে সুমধুর সুরে গান করতে করতে বিভিন্ন শহরে বন্দরে যাবে। গান পাগলা মানুষ মধুর বাদ্যযন্ত্র শুনে বলতে থাকবে, এই সুমধুর আওয়াজ কোথা থেকে আসছে। বিভ্রান্ত মানুষগুলো দলে দলে দাজ্জালের সামনে এসে হাজির হবে। দাজ্জাল ক্ষুধার্ত মানুষগুলোকে খাদ্য পানি সরবরাহ করবে, মানুষ খাদ্য পানি পান করে তৃপ্ত হবে। দাজ্জাল তখন বলবে, আমি তোমাদেরকে খাদ্য পানি দান করেছি শান্তি দিয়েছি, আমি কি তোমাদের প্রভু নহি? বিভ্রান্ত মানুষ তখন সমস্বরে বলবে, হ্যাঁ, তুমিই তো আমাদের প্রভু, তুমি না আসলে আমরা অবস্থা হতে বাঁচতে পারতাম না। এভাবে তারা দাজ্জালের ফিতনায় পড়ে ঈমান হারাবে
সারা পৃথিবীতে যখন দাজ্জালের ফেতনা চলতে থাকবে এবং দাজ্জালের ফেতনায় পড়ে মানুষ ঈমান হারিয়ে মৃত্যুর মুখে পতিত হবে। এইভাবে পৃথিবীর তিন ভাগের দুইভাগ মানুষ মারা যাবে। দুইভাবে মানুষ মারা যাবে। একটা হল Red Death অন্যটা হল White Death. Red Death অর্থাৎ যুদ্ধবিগ্রহের মাধ্যমে রক্তপাতের ফলে মানুষ মারা যাবে। আর ডযরঃব উবধঃয হল বিভিন্ন ধরনের মহামারীতে ব্যাপক হারে মানুষ মারা যাবে। বর্তমান চলছে ২০১৮ সাল। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী এটা হচ্ছে আখেরী জামানা অর্থাৎ শেষ জামানা। এখন যতই বছর যাবে ততই পৃথিবীর মানুষের অবস্থা খারাপ থেকে খারাপের দিকে যাবে। এই জমানার শেষের দিকে ভয়ংকর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে। এটা হবে ‡kl hy×
বর্তমানে পৃথিবীতে ১৫ হাজার নিউক্লিয়ার বোমা মজুত আছে। তার মধ্যে রাশিয়ার কাছে আছে হাজার আমেরিকায় আছে হাজার এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশে আরও হাজার আছে। এক একটা বোমায় বড় বড় শহরের কোটি কোটি মানুষ ধ্বংস হয়ে যাবে। ১৯৪৫ সালে জাপানের হিরোশিমায় যে বোমাটি পড়েছিল, তাতে ৬০ হাজার লোক কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মারা যায়। বর্তমানের বোমাগুলি বোমার চেয়ে লক্ষ গুণ বেশি শক্তিশালী। ২০২৬ সালে যদি ইমাম মাহ্দী আসেন তাহলে নিউক্লিয়ার যুদ্ধটা শুরু হবে আরো আগে থেকে। কারণ উপরের হাদীস থেকে জানা যায় যে, এই যুদ্ধের শেষ h©¨vয়ে ইমাম মাহ্দী আসবেন। দাজ্জাল বের হবে, দাজ্জাল সারা পৃথিবী ব্যাপী ফিতনা সৃষ্টি করবে। দাজ্জাল কয়েক বছর অবস্থান করবে। পৃথিবীতে দেশে দেশে যুদ্ধবিগ্রহ চলতে থাকবে আর দাজ্জালের ফিতনা চলতে থাকবে। ফলে দাজ্জালের ফিতনায় পড়ে এবং যুদ্ধবিগ্রহে কোটি কোটি মানুষ মারা যাবে। কেউ কারও নিয়ন্ত্রনে থাকবে না। কোন দেশ আরেক দেশের কথা শুনবে না। প্রত্যেক দেশ নিজ নিজ ক্ষমতা প্রদর্শন করবে। এই ক্ষমতার মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো নিউক্লিয়ার বোমা। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে জাপানকে কোন মতে হারানো যাচ্ছিল না। তখন আমেরিকা জাপানের হিরোশিমায় পৃথিবীর প্রথম নিউক্লিয়ার বোমাটি নিক্ষেপ করে। সাথে সাথে ৬০ হাজার লোক মারা যায়। এই বোমার রেডিয়েশনে দুই বছরের মধ্যে লক্ষ লোক মারা যায়। এত প্রচন্ড শক্তি ছিল এই একটি বোমাতে।
হযরত ইমাম মাহদীর (আঃ) আবির্ভাবের পর হতে এই সময় পর্যন্ত সাত বৎসর অতীত হবে। এই সময় একটা সংবাদ প্রচারিত হবে যে, দাজ্জালের আবির্ভাব হয়েছে এবং তারা মুসলমানদের উপরে ভীষণ অত্যাচার করছে। দাজ্জালের সেনাবাহিনী যখন মুসলমানদের উপরে অসহনীয় অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকবে, সে সময় হযরত ইমাম মাহদী (আঃ) দামেস্ক অবস্থান করবেন। এই সময় একদা দামেস্কের জুম্মা মসজিদে মুয়াজ্জিন আছরের নামাযের আযান দিলে মুসল্লীগণ নামাযের জন্য প্রস্তুত হবে। ঠিক এমন সময় দুজন ফেরেশ্তার কাঁধে ভর করে হযরত ঈসা (আঃ) মসজিদের পুর্বদিকের মিনারের উপরে অবতরণ করবেন এবং সেখান থেকে তিনি একটা সিঁড়ি দেয়ার জন্য মুসল্লীদেরকে আহ্বান করবেন। মুসল্লীগণ সিঁড়ি দিলে তিনি নিচে নেমে এসে হযরত ইমাম মাহদীর (আঃ) সাথে মোসাফাহ করবেন। এরপর ইমাম মাহদী তাকে নামাযের ইমামতি করতে অনুরোধ করবেন, কিন্তু হযরত ঈসা (আঃ) তাতে অসম্মতি জানিয়ে বলবেন, না, আমার জামানায় জামাতে নামাজ পড়ার বিধান ছিল না, আমি কোন দিন কোন জামাতের ইমামতি করিনি। একমাত্র দ্বীনে মুহাম্মদীতেই জামাতে নামাজ পড়ার জামাতে ইমামতি করার বিধান আছে, সুতরাং আপনিই ইমামতী করুন। অতঃপর হযরত ইমাম মাহদী (আঃ)- ইমামতী করবেন এবং হযরত ঈসা (আঃ) তাঁর পিছনে মোক্তাদী হয়ে আছরের নামায পড়বেন। তারপর ইমাম মাহদী (আঃ) দাজ্জালের আবির্ভাব মুসলমানদের উপর তার অমানুষিক অত্যাচার সম্বন্ধে আলাপ আলোচনা করবেন। নামায শেষ হবার পর হযরত ঈসা (আঃ) বলবেন, তোমরা দরওয়াজা খোলো। দরওয়াজা খোলা হবে। দেখা যাবে, উহার বিপরীত দিকে দাজ্জাল অবস্থান করছে। তার সহিত সত্তর হাযার ইহুদী রয়েছে। তাদের প্রত্যেকের নিকট তরবারি তাজ রয়েছে। হযরত ঈসা (আঃ) দাজ্জালের দিকে তাকাতেই গলে যেতে থাকবে, যেমন গলে যায় পানির মধ্যে লবণ। সে পালাতে চেষ্টা করবে। কিন্তু হযরত ঈসা (আঃ) তাকে বলবেন, তোমাকে আমি নিশ্চয় একটি আঘাত করব। উহা হতে তুমি কিছুতেই রেহাই পাবে না। এদিকে হযরত ঈসা (আঃ) দাজ্জালকে হত্যা করতে অগ্রসর হবেন আর অপর দিকে মুসলিম সেনাগন দাজ্জালের দলবলকে আক্রমন করবে। পাপীষ্ট দাজ্জাল হযরত ঈসা (আঃ)-কে দেখেই উর্ধ্বশ্বাসে দৌঁড়ে পালাতে চেষ্টা করবে, কিন্তু হযরত ঈসা (আঃ)-এর হাত হতে সে নি®কৃতি পাবে না। একদিকে মুসলিম সেনাগণ দাজ্জালের সহচরদেরকে পঙ্গপালের ন্যায় হত্যা করতে থাকবে। উপায়ন্তর না দেখে তারা পাহাড় পর্বত, বন জঙ্গলে আশ্রয় গ্রহণ করবে, কিন্তু মুসলমান সৈন্যদের হাত হতে তারা কেউই রক্ষা পাবে না। তিনি পুর্বদিকে অবস্থিতলুদপ্রান্তে তাকে পাকড়াও করে হত্যা করবেন। এভাবে আল্লাহ তাআলা ইহুদীদিগকে পরাজিত করবেন। প্রস্তর, বৃক্ষ, প্রাচীর, চতুষ্পদ প্রাণী ইত্যাদি যে কোনো বস্তুর আড়ালেই ইহুদীগণ আশ্রয় লউক, আল্লাহ তাআলা সেইদিন সেইগুলিকে ভাষা দিবেন। উহারা ডেকে বলবে, ওহে আল্লাহর মুসলিম বান্দাগণ। এই একজন ইহুদী। আসো উহাকে হত্যা করো। তবে বাবলা বৃক্ষ তাদেরই বৃক্ষ। উহা মুখ খুলবে না।-(তাফসীরে ইবনে কাসীর)
দাজ্জালের মৃত্যুর পর হযরত ঈসা (আঃ) হযরত ইমাম মাহদী (আঃ) একত্রে দাজ্জালের অত্যাচারিত দেশসমূহে ভ্রমন করে সর্বত্র শান্তি স্থাপন শাসন শৃংখলা বিধান করবেন। তাঁরা উভয়েই সেসব দেশের ইহুদী খৃষ্টানদেরকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষা গ্রহণের জন্য আহ্বান করবেন। যারা ইসলাম ধর্ম গ্রহন করবে না, তাদেরকে হত্যা করা হবে। ফলে তখন দুনিয়ার বুকে আর একজন অমুসলামনও থাকবে না। এর কিছুকাল পরে উনপঞ্চাশ বছর বয়সে ইমাম মাহদী ইন্তেকাল করবেন হযরত ঈসা (আঃ) রাজ্য পরিচালনা করতে থাকবেন। দেশের জনসাধারণের মধ্যে আবার পরম সুখ-শান্তি ফিরে আসবে। হযরত ঈসা (আঃ) আসমান হতে অবতরণের পর মোট চল্লিশ বৎসর দুনিয়াতে অবস্থান করবেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি বিবাহ করবেন এবং তাঁর সন্তান-সন্তুতি জন্মগ্রহণ করবে। হযরত ঈসা (আঃ) পূর্বে যখন দুনিয়ায় এসেছিলেন তখন তিনি বিবাহ করেননি, এমন কি বসবাস করার জন্য তাঁর নিজস্ব কোন ঘর-বাড়ী পর্যন্ত ছিল না। দ্বিতীয়বার দুনিয়ায় আগমনের চল্লিশ বৎসর পর তিনি মদীনায় ইন্তেকাল করবেন এবং হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর পবিত্র রওজা মোবারকের নিকট তাঁকে সমাহিত করা হবে।-(তাফসীরে ইবনে কাসীর)
আল্লাহ তায়ালা কোরআন শরীফে সূরা কাহাফ নাযিল করেছেন। কাহাফ আরবী শব্দ। এর অর্থ গর্ত। সাত জন যুবক এক গর্তে ঘুমিয়ে ছিল ৩০৯ বছর। এই সাতজন যুবকের কবর সিরিয়া এবং বেথেলহেমের মাঝে এক জায়গায় আছে। ইসা (আঃ) যখন পৃথিবীতে আগমন করবেন, তখন অলৌকিকভাবে এই সাতজন যুবক জীবিত হবেন। এই কবরের পাশে একটি গাছ সেই যুগ থেকে এখনও পর্যন্ত জীবিত আছে। ইসা (আঃ)-এর বিবাহ অনুষ্ঠান এই গাছের নীচে হবে এবং বেহেশত থেকে এই বিবাহ অনুষ্ঠানের খাবার আসবে। আখেরী জামানার ঘটনার সাথে এই সূরার সম্পর্ক আছে বিধায় সূরা কাহাফের প্রথম শেষ ১০ আয়াত মুখস্ত রাখলে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকা যায়। হযরত ইবনে আব্বাস আবু হোরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি জুমআর দিন অথবা তার রাতে সূরা কাহফ পাঠ করে, তাকে তার পড়ার স্থান থেকে মক্কা শরীফ পর্যন্ত নূর দান করা হয় এবং দ্বিতীয় জুমআ আরও তিন দিনের মাগফেরাত করা হয়। সত্তর হাজার ফেরেস্তা সকাল পর্যন্ত তার প্রতি রহমত প্রেরণ করে। সে ব্যথা, পেটের ফোড়া, বাত, কুষ্ঠ এবং দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকে। অন্য রেওয়ায়েতে আছে, সূরা কাহাফের প্রথম শেষ ১০ আয়াত মুখস্ত রাখলে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকা যায়।-(তাফসীরে ইবনে-কাসীর)

Copyright @ 2013-15 উম্মাতে মুহম্মাদ - আদর্শে ফুরকান.